জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১২

পুলিশের ঔদ্ধত্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন:দায় কার?

পুলিশের ঔদ্ধত্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন:দায় কার?



পুলিশের ক্রমশ: বেপরোয়া হয়ে উঠার পিছনে কারণগুলো কারোরই অজানা নয়!
তারপরেও বলতে হয়,

১। পুলিশকে বিরোধী দলী, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঠেঙানোর জন্য দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করা
বিরোধীদলের কর্মসূচীতে সরকারের "জিরো টলারেন্স" মনোভাব ও কড়া হুঁশিয়ারি পুলিশকে উস্কে দিতে সহায়তা করে
(অবস্থা এমন যে পুলিশকে যদি বলা হয় ডেকে নিয়ে আসো তবে এরা বেধে নিয়ে আসে)।

২। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ এবং নিয়োগ প্রাপ্তদের নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে, দলীয় তদবিরে ব্যবহার করা

৩। পুলিশের অপকর্মের বিচার না হওয়া, তাদের মধ্যে যারা ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে সেই অবৈধ আয়ের বখরা দুর্মূল্যের এই বাজারে বড় সাহেবদের
টেবিলে পৌঁছে যাওয়া

৪। পুলিশের নির্যাতন, অপকর্ম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেখে মহামান্য উচ্চ আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কিম্বা কোন রুল জারী না করার
কারণে (সম্প্রতি মহামান্য আদালত ল্যাব-এইডের অবহেলায় মৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের পক্ষে যেমনটি করেছেন) পুলিশ বাহিনী নিজেদের ধরা ছোঁয়ার
ঊর্ধ্বে ভাবছে। তাদের মনোভাবে নেতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন আগের চাইতে অনেক বেপরোয়া।

পুলিশের নির্যাতনে ৫ বার নির্বাচিত সাংসদ জয়নাল আবেদিন ফারুক আহত হলেও পুলিশকে বাঁচাতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর পুলিশকে বাঁচাতে সাফাই গাওয়ার
পরিণতি আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি!

সেদিন যদি বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি ঘটন করা হতো তাহলে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে পুলিশ ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে পঙ্গু করে দিচ্ছে এটা দেখতে হতো না।

সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন (এম ইউ) আহম্মেদকে পুলিশ হেফাজতে প্রাণ দিতে হতোনা।

স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে আমরা এ কোন দেশে বসবাস করছি।

সরকারকে আমরা নির্বাচিত করি জনগণের জান-মাল হেফাজতের জন্য।
গণতন্ত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার প্রশ্নটা কি এতোই ঠুনকো যে একজন আইনজীবীকেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বলি হতে হয়?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন