জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১২

পোলা তো নয় যেন আগুনের গোলা!!!

পোলা তো নয় যেন আগুনের গোলা!!!




ঘুম থেকে উঠে Face book Status দিলাম:
"ওরে তোরা হেসে খেলে
সমালোচনা পেছনে ফেলে
৫০ ওভার যাবি খেলে;
দেখবি ভয়ঙ্কর ব্যাঘ্র দেখে "Eng লেন্ট" ভাগছে উইকেট ফেলে।
টয়লেটে ডুকে তারা বসে তখন গোমড়া মুখে
ভাবখানা যেন "জামাল গোটা" খেলাম কোন দুঃখে!!!!!Tigers Soar Like An Eagle"

তবু মনে শান্তি নাই এসে বসলাম television এর সামনে,
টস এ জেতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত কি সঠিক ছিল এমন প্রশ্ন আমার মাথায় যেমন ঘুরছিল আমার বিশ্বাস
অনেকের মাথায়ও তাই ঘুরছিল
দল নায়ক ANDREW STRAUSS ৩১ বলে ১৮ রান আর MATT PRIOR কে ২০ বলে ১২ রান এ সংগ্রহ করে
ফিরে যেতে দেখে অনেকের মুখের হাসি দাঁত কেলিয়ে বেরিয়ে আসছিল।৩৯ রান এ ২ WICKET আর ৫৩ রানে ৩ wicket খারাপ লাগ ছিলনা!Eoin Morgan ৭২ বলে ৬৩ আর Jonathan Trott এর ৬৭ ঝড়ো রান বাংলাদেশ শিবির এ কালো ছায়া নেমে আসে!
মনে হচ্ছিল ম্যাচটি হাত ছাড়া হতে যাছে.. ৩৮.৪ ওভার এ EION MORGAN ৪৩.৪ ওভার এ jonathon trott আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশ শিবিরে সোনালী সূর্যের দ্যুতি ছড়িয়ে পরে,,সেই সাথে stadium উপচে পড়া দর্শক আর tv র সামনে বসে থাকা কোটি কোটি দর্শক আশান্বিত হয়ে পড়ে।
এরপর দ্রুত পট পরিবর্তিত হয়ে পড়ে,গোটা ম্যাচটি চলে আসে বাংলাদেশ দলের নিয়ন্ত্রণে.... একের পর এক wicket এর দ্রুত পতন ও ঘটে।
২২৬ রানের টার্গেট নিয়ে বাংলাদেশ দল মাঠে নামে মাত্র ৭.১ ওভার এ তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েস অর্ধ শত করে ইংলিশদের জানান দিল আমরাও পারি...মনে মনে বলি,” 3 cheers Tigers!”.মাত্র ২৬ বলে ৩৮ রান করে Bresnen এর বলে বোল্ড আউট হলেন তামিম!দুর্ভাগ্য তামিম!
একটু আশাহত হলাম,এবার জুনাইদ সিদ্দীকি গেল মাত্র বারো রানে ,,হায় হায় দলের মধ্যে ছোঁয়াচে কলেরা লাগছে!
রাকিবুল হাসান Shahzad এর বলে যেভাবে বোল্ড হলও!!পর Stadium জুড়ে পিনপতন নীরবতা আর বুকের ভেতর হাতুড়ি বাজা শুরু ..তোরা আমাদের এত সম্ভাবনার ম্যাচটাকে ক্রমশ: এমন করে নাগালের বাইরে যেতে দিস!

চাই কঠিন পণ শক্ত মনোবল,Come on Tigers!!!

একসময় মনে হল ম্যাচ জেতা শুধু সময়ের ব্যাপার।কিন্তু মাত্র দুই ওভারের ব্যবধানে সাকিবুল হাসান, মুশফিকুর
রহিম আউট হয়ে গেলে আবার সবার মুখে হতাশার কালো ছায়া নেমে আসে।দুঃসাধ্য মনে হতে থাকে,,নাঈম ইসলাম চলে গেলে আবারও মুষড়ে পড়া।টানটান উত্তেজনা।কী হয় কী হয়!
খেলায় হার-জিত থাকবে কিন্তু এই চলমান ম্যাচগুলো দেখে আমরা একটা জিনিস শিখেছি সেটা হল “দলমত নির্বিশেষে আমরা খুব সহজে একত্রিত হতে পারি,দেশের সুনামের জন্য আমরা কিভাবে নিজেদের ভালবাসা উজাড় করে দিতে পারি...এমন একজন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবেনা যারা হৃদয় থেকে চায়নি আজকের এই খেলায় বাংলাদেশ জিতুক...হয়েছেও তাই।

“Cheers টাইগার্স!

সমালোচনা কারীদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য, জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে যখন সকল রাজনৈতিক দলগুলো বার্থ তখন তোমাদের এই জ্বলে উঠা তাদের অসহায়ত্বের কথা আরও বেশী বেশী মনে পড়ে যায়।
আফসোস আমরা নৈতিকতার,নিজেদের হীন মানসিকতার বিকাশ ঘটাতে পারিনা তাই এরা ভালো খেললে আমরা মাথায় তুলে নাচি,,একটু খারাপ করলে সমালোচনার নামে তাদের গুষ্টির পিণ্ডি চটকাতে একটুও দ্বিধা করিনা।

আমরা এক নোবেল পদকের সম্মান দেই ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পদক প্রাপ্ত ব্যক্তিটি রাজনীতি করার অভিলাষ না দেখান,,যখনই দেখি তিনি সাংবিধানিক অধিকার কিম্বা দলের সমালোচনা করেন আমরা তাকে ঘুষখোর-সুদখোর বানিয়ে টেনে হিচঁড়ে নামিয়ে আনি,আমরা একবারও ভাবিনা এটা আমাদের জন্য কতটা দুর্ভাগ্যের কারণ।যাকে নিচে নামানো হল তার চেয়ে বেশী আমরা নেমে গেছি মানসিকতায়!
আমরা এখন বলি ঘুষখোর-সুদখোর,,আগে বলতাম না,,একজন ইউনুসকে টেনে নামিয়ে যদি আমরা তথাকথিত ক্ষুদ্র-ঋণ কিম্বা চড়া সুদের ঋণ দাতা NGO গুলোকে কে প্রতিহত করতে পারতাম,,,যদি পারতাম দরিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান কিম্বা আমরা নিজেরাই আত্ম মর্যাদা-শীল জাতি হিসেবে নিজেদের সকল সম্ভাবনা কাজে লাগাতাম তবে পাশ্চাত্যের শোষক গোষ্ঠীর বানানো প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চলতে গিয়ে NGO গুলোকে আমরা আমাদের এইভাবে শোষণ করার সুযোগ দিতাম না।তথাকথিত NGO যুবক হাজার কোটি টাকা চোখের সামনে দিয়ে নাই করার দুঃসাধ্য কোথায় পায় প্রশ্ন পাঠকের কাছে।মানব সম্পদ উন্নয়ন,শিক্ষা কিম্বা অন্য যত গুলো খাত আছে যেখানে NGO গুলো ঋণ দান করে আর যেভাবে টিনের চালা,হালের বলদ নিয়ে যায় তা যদি বন্ধ হত তবে আমরা এক ইউনুস এর বিদায় কে স্বাগত জানাতাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন