দেবু’দার পূনঃজনম।
জোৎস্না ছিল দিগন্ত জুড়ে কাঁপা কাঁপা, জোনাক জ্বলা
সপ্তাকাশে তারার মেলা বুক কাঁপা-কাঁপি দুরু-দুরু ,
শান্ বাঁধানো দীঘির পাড়ে তোমার হাতটি ধরে,
বসে আছি চুপটি করে।
"দেবু’দা তুমি কি বুঝো কতোটা চাই তোমায়!
কেন মনে হয় একদিন তুমি ছেড়ে যাবে আমায়?"
স্নেহ ঝরে পড়া চোখে বলেছি সেদিন, পাগলি কেন এত ভয়!
তোর প্রাণ এখন তো আমার, ওটা তো আর তোর নয়?
কেনো ভাবিস আমি পালাবো ভুলে নিজের কথা
তুই আমি একটি প্রাণ, একই সুরে গাঁথা।
"ভাবো তুমি যা খুশি, আমি বুঝি না
দেবু’দা না পেলে এ জীবন আমি রাখবো না।"
"উপায় খুঁজো, মাথা উঁচু করো, চেয়ে নাও এই হাত
তারার মেলায় বাসর হবে কেটে যাবে হাজার রাত।"
আবেগে ভেসেছি সুখের কাঁটায়, সুখের ক্ষত বুকে
ভায়েরা তোমার অতি নাক উঁচু, দম্ভ ও আভিজাত্যে
হেসেই খুন 'পাগলের কাছে বোন!' দেবো কোন দুঃখে।
ভেবে পাইনি সেদিন, কম আছে কী আমার
ভালোবাসার চেয়ে দামি কিছু আছে নাকি চেনার!
তুমি কেঁদেছ, আমি দিলাম শূন্যে ডানা মেলে
উড়ে গেলাম স্বপ্ন সাজাতে তোমায় পেছনে ফেলে।
পড়ার ফাঁকে কাজ করি, খাটি ভূতের বেগার
ঘায়েল হলাম দেখে সব ‘মেরিকান’ মেম এর ফিগার!
ছোট জামা, ছোট কাপড় ধবধবে সাদা পরী
ভূতে ধরেছে আমায় কাদঁবো তোমায় মনে ক’রি !
বসে ছিলে পথ চেয়ে হওনি কভু ক্লান্ত
দেবু’দা কবেই মরে গেছে 'বাবুটা' যদি জানতো!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন