জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১২

রশীদ তালুকদার: ছবিতে যখন বারুদ ছড়াতো

রশীদ তালুকদার: ছবিতে যখন বারুদ ছড়াতো



৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোতে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক চক্রের রক্ত চক্ষু ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত।
রাজপথে আন্দোলনরতদের ছবি তুলেছিলেন নির্ভয়ে।

গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আসাদের রক্ত মাখা শার্টের ছবি
তাঁর কালজয়ী আলোকচিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম

৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময় মিছিলে স্লোগানরত নিহত টোকাইয়ের ছবি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক আগরতলা মামলায় হাজিরা দিতে যাবার দৃশ্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ১৯৭১-র ঐতিহাসিক ৭-ই মার্চের ভাষণের দৃশ্যটি।

৭-ই মার্চের ভাষণে জন সমুদ্র

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ছুটে বেরিয়েছেন রণাঙ্গনে, অনুসরণ করেছেন।


মুক্তিকামী জনতার কাতারে থেকেছেন অকুতোভয়।

রায়ের বাজারের বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকাণ্ডে তাঁর তোলা ছবি সেদিন বিশ্ব বিবেক কে নাড়া দিয়েছিল

তাঁর তোলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ছবি।


স্বাধীনতার পর টাঙ্গাইলে কাদেরিয়া (কাদের সিদ্দিকীর নির্মম নির্যাতনের কাহিনী তাঁর ক্যামেরা বন্দি তাঁকে এনে দিয়েছিল পুলিৎজার পুরষ্কার)।

১৯৮২ থেকে ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তাঁর তোলা ছবি সারাদেশ ব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি বহুবার
পুলিশের নির্দয়, নির্মম প্রহারে আহত হয়েছিলেন।
(ছবি গুলো কেউ শেয়ার করবেন কি?)

রশীদ তালুকদার ১৯৩৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভারতের চব্বিশ পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন ।
বাবা চাকরি করতেন রাজশাহী। মাত্র ছয় বছর বয়সেই তিনি রাজশাহীর স্টার স্টুডিও-র মরহুম মোতাহার হোসেনের কাছে তার ফটোগ্রাফির হাতেখড়ি নেন।
১৯৫৯ সালে ফটো টেকনিশিয়ান হিসেবে যোগ দিলেন পি-আইডিতে (প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট)। বেতন ছিল মাত্র ৮০ টাকা
১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদে আলোকচিত্রী হিসেবে যোগ দিয়ে প্রায় একযুগ কাজ করেন।
আলোকচিত্রী হিসেবে তাঁকে জীবনের প্রথম এ্যাসাইনমেন্টটি দিয়েছিলেন শহীদুল্লাহ কায়সার।
১৯৭৫ সালে তিনি যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে। টানা ২৯ বছর দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করে তিনি অবসরে যান ২০০৭ সালে।
এরপর থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই তিনি সময় কাটাচ্ছিলেন।

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইহলোক ত্যাগ করেছেন এক ক্যামেরা সৈনিক রশীদ তালুকদার।
তাঁর ফেলে যাওয়া স্থান কখনোই পূর্ণ হবেনা।
মরহুমের শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি।

কালজয়ী এই আলোকচিত্রীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

ছবি ও তথ্য: ইন্টারনেট

প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালা ২০১১: আদিম গুহামানব যুগে প্রস্থান করতে চাই!

প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালা ২০১১: আদিম গুহামানব যুগে প্রস্থান করতে চাই!


প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালা পড়ার পর অনেক দিন বেকুবের মত ভেবেছি!
কোন কুল কিনারা না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আদিম গুহামানব যুগে প্রস্থান করিব!
প্রস্তর দিয়া শিকার করিব, মনের ভাব আকারে ইঙ্গিতে প্রকাশ করিব, বনের রাজা ব্যাঘ্র মহাশয়ের পূজা করবো।
এছাড়া আর কোন গত্যন্তর আছে বলে আমার মনে হয়না! যেহেতু আমরা সভ্য সমাজে বসবাসের উপযোগী নই, সেহেতু আমাদের রশি দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে!
আমরা গরু-ছাগলের মত ভেঁ-ভেঁ,হাম্বা-হাম্বা করব আর মাথা দোলাবো।


এই রকম আবেদন নিয়ে অতি উৎসাহী কিছু নীতিনির্ধারক অতি সম্প্রতি জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছেন!
গণতন্ত্র,বাক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মন্দা,বেকারত্ব নিরসনে,ক্ষুধা-দরিদ্রতা নিরসনে নির্বাচিত সরকারগুলোর ব্যর্থতায় রাজনৈতিক দলগুলোর এবং এর নেতৃবৃন্দদের
অহরহ সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় এবং এটাই স্বাভাবিক।

এই যে আলোচনা-সমালোচনা এর থেকেই সবাই ভুলগুলো শুধরে নিলে আইন করে অধিকারগুলো হরণ করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করিনা।

প্রস্তাবিত এই নীতিমালাকে সম্মান কিম্বা সাধুবাদ জানিয়ে এ পর্যন্ত কেউ পক্ষে তার সাফাই গেয়েছে বলে আমি দেখিনি, সমাজের সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এরপরও গুঞ্জন আছে এই নীতিমালাটিও আইন আকারে পাশ হতে যাছে।
এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর কিম্বা পরিকল্পনাকারীরা ভালো জানবেন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এমন অনেক নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে যেখানে জনমতের প্রতি শ্রধ্বাবোধ দেখানো হয়নি।

অনলাইন সংবাদ মাধ্যম,সংবাদ পত্র,বেসরকারি চ্যানেলগুলো সবাই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সম-অংশীদার। সবাই স্বাধীন দেশের নাগরিক। স্বাধীনতা ভোগ করার সুবিধা সবারই আছে।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে এমন চিত্র-ই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
যদিও কতিপয় সংবাদপত্র,সংবাদ-সেবী,সুশীল সমাজের একটা অংশ জাতীয় জরুরি মুহূর্তে, জাতীয় নৈরাজ্যে এগিয়ে না এসে একপেশে মন্তব্য করে, হলুদ কিম্বা অপ-সাংবাদিকতা করে তথ্য বিকৃত করে অনেক ঘটনার, আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন, তারপরও বলি মিডিয়ার স্বাধীনতায় কোন সরকারের হস্তক্ষেপে কখনোই সফলতা বয়ে আনেনি, আনতে পারেনা।
তা দেশের বঞ্চিত, অবহেলিত জনগণের কথাই হোক, গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রেই হোক।

প্রস্তাবিত নীতিমালার যেসব বিষয়ে আপত্তির যথেষ্ট কারণ রয়েছে যেগুলো পড়লে মনে হয় সরকারের ভেতর একটি গুষ্ঠি ক্রমশ স্বৈরাচারী মনো ভাবাপন্ন হয়ে উঠছে, কিম্বা উঠতে চাইছে!
এরা দেশপ্রেমিক ধ্বজাধারী অশুভ-শক্তি বৈ আর কিছু নয়!
প্রস্তাবের এক যায়গায় বলা হয়েছে,
" রাজনীতির বিষয়ে নেতিবাচক কিছু প্রচার করা যাবে না।"
"সরাসরি বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য বা মতামতও প্রচার করা যাবে না।"


এটা গণতন্ত্র চর্চার প্রতি প্রথম বাধা বা হস্তক্ষেপ বলে আমি মনে করি,,আগই বলেছি যার যার মত প্রকাশের স্বাধীনতা তার আছে। তার বক্তব্য জনগণের কাছে পৌঁছানোর অধিকার আছে বা থাকা উচিত।
জনগণের চোখ তো বাঁধা থাকছে না! ফলে ভাল-মন্দ স্থির করার দায়-ও জনগণের উপরই বর্তায়।
উল্লেখ্য সবগুলো প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নিজস্ব মিডিয়া, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আছে বলে আমি মনে করি।

এরপর বলা হয়েছে:
"বেসরকারি সম্প্রচারের উদ্দেশ্যে পরিবেশিত অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে খসড়া নীতিমালায় সম্প্রচারে ১৯৬৩ সালের ফিল্ম সেন্সরশিপ আইন অনুসরণের কথা বলা হয়েছে অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বিধি বা নীতিমালা অনুযায়ী কোন অনুষ্ঠান প্রচার করা যাবে না।"
"প্রস্তাবিত নীতিমালায় উল্লেখ না থাকা সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তথ্য মন্ত্রণালয়।"


অর্থাৎ নীতিমালায় উল্লিখিত না থাকা কিছু কাল্পনিক বিধান যাকে "কালো আইন" হিসেবে অভিহিত করা যায়। এখানে সরকারের মনোভাব কেমন সেটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হতে হবে কি!


আরেকটি অংশে বলা হয়েছে:
"...কিংবা একটি বন্ধু ভাবাপন্ন বিদেশী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন ধরনের প্রচারণা যার ফলে সেই রাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সুসম্পর্ক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে এমন অনুষ্ঠানও করা যাবে না।"

আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। যে আমাদের সীমান্তের তিনদিক ঘিরে আছে, ১৯৭১-র মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশটির অনেক অবদান আছে। ভারত আমাদের বন্ধু ,আমাদের প্রতিবেশী।

কথা হচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া দিয়েছে,আমাদের ছিটমহলে বন্দী করে রেখেছে,
আমাদের ৩ বিঘা করিডোর বুঝিয়ে দিচ্ছেনা, আমাদের প্রাপ্য পানির ন্যায্য হিস্যা না দিয়ে, সীমান্তে পাখির মত মানুষ মারছে এসব প্রচার করা হলে বন্ধুত্ব নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে,
তাই বলে কি আমরা চুপ করে থাকব!

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন ," খসড়া নীতিমালাটি অনলাইনেও দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ মতামত দিতে পারবেন। অনলাইনে পাওয়া ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ মতামত কমিটি বিবেচনায় নেবে।"

সম্প্রচার নীতিমালা যদি হয় বাক-স্বাধীনতার উপর খড়গ তা হলে বলতে হবে গণতন্ত্র তোমার মুক্তি এখনও হয়নি। স্বাধীনতার সুফল এখনও জনগণের কাছে পৌঁছেনি।

আমি আমার মতামত জানালাম।
আমার সাথে আর কেউ তাদের মতামত শেয়ার করবেন কি !

ছবি: আন্তজাল

অভিন্ন নদীতে অভিন্ন অধিকার: কি করবেন!!"ভাবনাটি আপনার": কি করবেন!!"ভাবনাটি আপনার"

অভিন্ন নদীতে অভিন্ন অধিকার: কি করবেন!!"ভাবনাটি আপনার": কি করবেন!!"ভাবনাটি আপনার"



১৯৮০ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় মার্ক এঞ্জেলোর নেতৃত্বে নদী বাঁচাও আন্দোলনের সূচনা হয়।
এরপর ২০০৫ সালে বিশ্ব নদী দিবস জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।
'অভিন্ন নদীতে অভিন্ন অধিকার।' স্লোগানে বাংলাদেশে এবারের নদী দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশ বাংলাদেশকে এক সময় বলা হত নদীমাতৃক দেশ।
দেশ জুড়ে বয়ে চলা ২৩০টি নদীর বুক চিরে একসময় সারাদেশ ব্যাপী নৌকা-লঞ্চ-স্টিমারের আনাগোনায় মুখরিত ছিল।
নদী তীরবর্তী অনেক অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল পণ্য উঠানামার বন্দর।
বর্ষায় নদীগুলো যখন পানিতে টই-টম্বুর তখন গেরস্তের ঘরে উঠত পাকা আউশ ধান, সোনালী আঁশের পাট বিক্রির ধূম পড়ে যেত।
কৃষকের হাতে তখন নিরবচ্ছিন্ন সময়। শুরু হতো বৌ-ঝিদের বাপের বাড়ীতে নাইওর আনা নেয়া।
থই থই পানিতে ভরা বিলে থোকায় থোকায় শাপলা ফুটে থাকত। পানকৌড়িদের ডাকে বিলে আছড়ে পড়ত অদ্ভুত শব্দ। গায়ে শিহরন জাগাত।
কিশোর কিশোরীরা দলে দলে ডেঁপ কুড়াতে, নাইতে নেমে যেত। জেলেরা স্রোত মুখে নানা রকমের জাল দিয়ে, চাই পেতে মাছ ধরত। শুকনো মৌসুমে মাছ ধরবে বলে নতুন জাল বুনত।
স্বাধীনতার অল্প ক'বছরের মধ্যেই চাল-চিত্র পাল্টে যেতে থাকে।
আজকের শীর্ণকায়া নদীগুলো শুধুই কালের সাক্ষী হয়ে মানচিত্রের বুকে ক্ষীণ রেখা হয়ে আছে।
এর জন্য কে দায়ী?
১।আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশের আগ্রাসী মনোভাব আমাদের নদীগুলোর অপ-মৃত্যুর অন্যতম কারণ।
দেশটি দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদীর ৪৭টির উজানে অযৌক্তিক ভাবে দুই শতাধিক বাঁধ নির্মাণ করেছে । এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফারাক্কা বাঁধ।
এই সমস্ত বাধের কারণে এবং দুই দেশের মধ্যে পানি বণ্টন চুক্তির প্রতি ভারতের অবজ্ঞা প্রদর্শন, প্রাপ্য পানির ন্যায্য হিস্যা প্রদান না করায় দেশে এখন ভরা বর্ষা মৌসুমেও
নদীগুলো পানিশূন্য থাকছে।
তিস্তার পানি দেশটি একতরফা ভাবে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে তিস্তা চুক্তি এজেন্ডায় থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির
বাধার কারণে তিস্তা চুক্তি হয়নি এটা ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি।
একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর হুমকিতে পরাস্ত হয়েছিলেন কি-না তা মাওলানা ভাসানীর মত

লং-মার্চ করা (ফারাক্কা অভিমুখে) নেতা বেচে থাকলে বলতে পারতেন।
এছাড়াও ভারত টিপাই মুখে বাধ দিয়ে সংশ্লিষ্ট নদী গুলোকে আরও এক দফা পানিশূন্য করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারত আন্তর্জাতিক নদী আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে। দেখার কেউ নাই।

২। অধিকাংশ নদীতে পলি জমে ভরাট হয়ে গিয়েছে। অপরিকল্পিত বাঁধ, কালভার্ট, সেতু নির্মাণের কারণে নদীর গতিপথ বদলেছে। এক কথায় বলা যায় যত্রতত্র বাঁধ, পোল্ডার
ও এমব্যাংকমেন্ট নির্মাণ নদীগুলোর গতিপথ বদলে দিয়েছে। এছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য যে সমস্ত খাল, ডোবা, বিল, হাওর ছিল তা বিলীন হয়ে গিয়েছে কিম্বা ভূমি-দস্যুদের কবলে পড়ে ভরাট হয়ে গিয়েছে।

৩। অপরিকল্পিত শিল্প, কল-কারখানার অনুমোদনের কারণে এবং এসব শিল্প, কল-কারখানার বর্জ্য ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বা পরিশোধন না করে সরাসরি নদীতে নিক্ষেপ করার কারণে।
ক্যামিকেল বর্জ্য, পলিথিন এবং আবর্জনা নিক্ষেপ করে নদী দূষণ করা হচ্ছে।

৪। মানুষের লোভের কাছে পরাস্ত হয়েছে আমাদের নদীগুলো। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বংশী, তুরাগ নদীর মত অনেক নদী অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাচ্ছে। ঢাকা শহর রক্ষা বাঁধের দুই পাশ বালু উত্তোলনকারী ও শক্তিশালী সিন্ডিকেট গুলোর হাতে দখল হয়ে গেছে।

নদী গুলো রক্ষা করতে হবে। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে।
বর্তমানে ভু-গর্ভস্থ পানির স্তর যেভাবে নীচে নেমে যাচ্ছে তাতে আগামীতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলা, বন্যা মহামারী, খরা দেখার জন্য আমরা তৈরি হবো নাকি নদীগুলো রক্ষায় সোচ্চার হব, "ভাবনাটি আপনার"।

ছবি: ইন্টারনেট

নারী ও শিশু নির্যাতন: শশুর বাড়ি জিন্দাবাদ

নারী ও শিশু নির্যাতন: শশুর বাড়ি জিন্দাবাদ

আমাদের কোম্পানির এসফল্ট প্লান্টে (বিটুমিন তৈরির) প্রচুর বাঙালি কাজ করে। এদের অনেকের সাথে আমার হৃদ্যতাও গড়ে উঠেছে।
ডাক্তারের বারণ থাকা সত্ত্বেও গত রোজার মাসে ২/৩ দিন তাঁদের সাথে দেশীয় ইফতার (ভাজা-পোড়া) খেয়েছি।
এদের মধ্যে একজন আমায় জামাতা বলে ডাকে!
তাঁর ৮ বছরের মেয়ে টুনি ফোন করলেই বলে, "মুঝছে শাদী করোগী?"
বলি, "কিউঁ নেহি"! সে হেসে গড়াগড়ি খায়। মনে মনে ভাবি, "আকাশ সংস্কৃতি তোর বদলে গাঁও গেরামের ছেলে মেয়েও আজকাল হিন্দি ছবির ডায়লগ বলে!"
শনিবার রাত ১০টার দিকে তাঁর ফোন পেলাম।
ঘটনা শুনে অনেকক্ষণ থ হয়ে বসে রইলাম!
তাঁর বোনের বিয়ে হয়েছে ১৬ বছর। ভগ্নীপতি ঢুবাই থাকে।
৫ ননদের সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। ভায়েরা আলাদা।
এক ননদ ও তার জামাতা মিলে চাপ দিচ্ছিল, 'ভাইকে বল তোমাদের জামাইয়ের ব্যবসা খারাপ। ঈদের আগে কিছু টাকা দিতে, দোকানে মাল তুলবে"।

গৃহ বধূটির দুটি সন্তান পড়ালেখা করে জামাই যে টাকা পাঠায় তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যায়।
তবু বরকে বুঝিয়েছে,"দাও না কিছু টাকা, বেচারা বিপদে পড়েই এসেছে।"
বরটি টাকা না দিয়ে উল্টো বোনকে ফোনে ধমকেছে।
এই হল ঘটনা।
ননদের জামাই আর ননদ মিলে ভাবিকে প্রচণ্ড মার-ধর করেছে।
দুই সন্তান বাধা দিলে তাদেরও মার-ধর করা হয়েছে।

মারের চোটে গৃহ-বধূটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে শশুড় বাড়ির লোকেরা তাকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ঢামেক এর ইমার্জেন্সীতে নিয়ে যায়।
বধূটি আত্ম-হত্যার অপ-চেষ্টা করেছে বলে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করে।
রোগিণীর ঠাঁই হয় ইমার্জেন্সী ওয়ার্ডের বারান্দায়।
অচেতন পড়ে আছে।
ডাঃ দেখেনি ।
পারলে যেন কিছু করি।


শুরু হল আমার ফোন। এই বেসরকারি চ্যানেলের অমুক, ঐ চ্যানেলের তমুক, অমুক পত্রিকার তমুক, কাউকে বাদ দিলাম না।
সেই রাতে কেউ ফোন ধরল না কিম্বা বন্ধ ছিল!
নিজেই লজ্জা পেলাম রাত ২টায় আমি কেন তাঁদের বিরক্ত করছি!
এক বন্ধু ঠিক কল ব্যাক করল। জানতে চাইল, " দোস্ত এত রাতে? সব ঠিক আছে?"
তাঁকে সব বললাম। এ-ও বললাম আগে ভিক্টিমকে বাঁচাও।
বন্ধু আমার কি করেছে জানিনা শুধু এইটুকু জানতে পেরেছিলাম, ভিক্টিম সিট পেয়েছে,
ডাঃ, নার্স সার্বক্ষণিক তৎপর, বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছে!
বন্ধু তোমায় লাল সালাম।
সকালে ক্র্যাব (ক্রাইম রিপোটার্স অব বাংলাদেশ) এর মেডিকেল রিপোর্টাররা আহতের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোগিণীর জ্ঞান ফিরেছে, কথা বলা বারণ।

ভার্চুয়াল জগতের যাদেরকে আমি চিনি, যারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লম্বা চওড়া কথা বলেন, যারা এতটাই প্রভাবশালী যে ইচ্ছে করলেই মানবিক কারণে রোগিণীর পাশে দাঁড়াতে পারতেন। আমি তাদের কাউকে ই-মেইল, কাউকে ফেসবুকে লিখেছিলাম।
তাঁরা জবাব পর্যন্ত দেননি! কেন দেননি আমি জানিনা। শুধু একজন পুলিশের কর্মকর্তা (বিশেষ শাখার) জবাব দিয়ছিলেন।
নিজেদের লোকবলের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে তাঁর পক্ষে যতখানি করা সম্ভব করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।
তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। আপু তোমার জন্য শুভকামনা।

পরের ঘটনা অনেক সংক্ষিপ্ত; আমার এক ক্লাস-মেট পুলিশের বড়-কর্তা (বিসিএস), তাঁকে ফোন করেছিলাম।
বলে, "বন্ধু কাউকে লাগবে না, মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে না। রোগীর আত্মীয় স্বজনের কাউকে থানায় যেতে বল এখুনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে সবাই গ্রেফতার হয়ে যাবে। এটা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা।
ভিক্টিমের জবানবন্দী ১ ঘণ্টার মধ্যে নেয়া হবে।
এমন রিমান্ডে দিমু মেয়েদের গায়ে হাত তুলতে ৫০ বার চিন্তা করবে।"

ঘাম দিয়ে জর ছাড়ল! যাক এখনও ভাল কিছু মানুষ এদেশে আছে। বন্ধু তুমি আর তোমার মত করিৎকর্মা পুলিশ অফিসারদের আমার শুভেচ্ছা।

অল্পক্ষণের মধ্যেই ফোন পেলাম। রোগিণীর ভাই বলছে, প্লীজ পুলিশকে থামান। আমরা চাইনা অঘটন ঘটে যাক।
এখন পুলিশ যদি আসামিকে ধরে আর মারধোর করে তবে দুটি সন্তান সহ বোনটির দায় আমাদের কাঁধে এসে পড়বে!
এই আক্রার বাজারে এদের ভরন পোষণ কি করে করবো?
আর সাংবাদিক ভাইদের বলেন "ঘটনা যেন মিডিয়ায় প্রকাশ না করে"।
ক্ষেপে গেলাম। বললাম, "ঐ মিঞা বোনটার জ্ঞান যদি আর না ফিরত? কি করতেন বোনের শশুর বাড়ীর আত্মীয় স্বজন দিয়ে"?
আবার ভাবি, "সত্যি-ই তো কে নেবে তাঁর দায়?"

কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, আমার ভগ্নীপতি বাংলাদেশে আসছে রবিবার। সে দায়িত্ব নিয়েছে। বোন ও তাই চায়।
তাছাড়া পঞ্চায়েত, ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, উপ-জেলা চেয়ারম্যান সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।

জয় হোক মানবতার!
বধূটি সুস্হ হয়ে ঘরে ফিরেছে।

মনটা তবুও অশান্ত। কত গৃহবধূ রোজ নির্যাতিত হচ্ছে, এমন কত ঘটনা সবার অগোচরে থেকে যাচ্ছে!
ক'জনের খবর সংবাদ মাধ্যমে আসে?
সবাই যদি গৃহ-বধূ রোমানার মতো সাহসী হতো তবে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন কারীরা একটু চুপসে যেত!
সবাই যদি রোমানার মত বড় পরিবারের মেয়ে হতো?

ছবিঃ দি ডেইলি স্টার ১৪, সেপ্টেম্বর,২০১১ এর সৌজন্যে।

শহর রক্ষার বেড়ীবাঁধ: যেখানে সীমান্ত তোমার সেখানেই দখল আমার

শহর রক্ষার বেড়ীবাঁধ: যেখানে সীমান্ত তোমার সেখানেই দখল আমার



জন্ম থেকেই দেখে আসছি বুড়িগঙ্গাকে। ঢাকাকে ঘিরে গড়ে উঠা বুড়িগঙ্গার কত শত ইতিহাস।
সেই বুড়িগঙ্গা আজ মরে গেছে! আমরা বাঁচাতে পারছিনা আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সৌন্দর্য, আমাদের গর্বের বুড়িগঙ্গাকে।



চারপাশে পরিবেশবাদীরা, সাধারণ মানুষেরা কত-ই না সোচ্চার বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে।
শুধু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ভূমি দস্যুদের হাতে এর বিস্তীর্ণ অংশ দখল হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত!

১৯৮৬ এবং ১৯৮৭ সালের ভয়াবহ বন্যা আর ঢাকাকে ঘিরে জলাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে তৎকালীন সামরিক শাসক এবং একপাল তথাকথিত নগর পরিকল্পনাকারীদের
সুপারিশে ঢাকা শহর রক্ষা বাধ বা ঢাকার চারপাশে বেড়ীবাঁধ দেয়ার এক বিশাল পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে গিয়েই মূলত বুড়িগঙ্গার নাব্যতা, বুড়িগঙ্গার ব্যাপক অংশের স্রোতের গতিধারা বদলে ফেলা হয়।

আমার মনে আছে পূর্ণ বর্ষায় নদী যখন টইটম্বুর তথন-ই হাজার হাজার বালুর ট্রলার দিনরাত নদীবক্ষে বালু ফেলে যাচ্ছিল।
নদীর তলদেশে কয়েক স্তর বালু তখনই এর পানির ধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছিল। বলা যায় চর পড়ে গিয়েছিল।

এছাড়া রাজধানীর সোয়ারী ঘাট এলাকা, রহমতগঞ্জ, লালবাগ কেল্লার পিছনের অংশ, কেল্লার মোড়, শহীদ নগর, আমলিগোলা,
নবাবগঞ্জ পার্ক, নদীর মাঝখানে টং জাতীয় ঘর করে থাকা জেলে পরিবার তথা জেলে পাড়া, নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সামনের অংশ,
কোম্পানি ঘাট, ঝাউচর, বছিলা, রায়ের বাজার টালি অফিসের নিম্নাংশ, মোহাম্মদপুরের নিম্নাংশ, গাবতলি হয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত সর্বত্র নদীর ২০০ থেকে ৫০০ মিটার
পড়ে যায় বেড়ীবাঁধের ভিতর অর্থাৎ কিছু লোক রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয় যায়।


বাকী হাজার হাজার একর জমিন এক সময় বেদখল হয়ে যায় রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায়।
প্রথমে ব্যাঙের ছাতার মত ভুঁইফোড় ক্লাব, সরকারী দলের অফিস, সমবায় সমিতি ইত্যাদির অফিস গজিয়ে উঠে পুরো বেড়ীবাঁধ এলাকায়।
এক সময় ক্ষমতাসীন নেতাদের, ঘুষখোর প্রশাসনের সহায়তায় প্রকাশ্যে এসব জমি তাদের দখলে চলে যায়।

একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল ঠিক বুড়িগঙ্গার উপর এখনও সবার দিকে অঙ্গুলি তাক করে আছে!
এরাই সর্বপ্রথম বেড়ীবাঁধের বাইরে গিয়ে নদী ভরাট করে হাসপাতাল ও কলেজটি চালু করেন। শোনা যায় হাসপাতালটির মালিকের রাজনৈতিক প্রভাব এতো বেশি যে
তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি করার জো নেই কারো!

সেই যে পলি বা বালু নদী গর্ভে নিক্ষেপ করা হয়েছিল যার কারণে বেড়ীবাঁধের বাইরের অংশে নদীর নাব্যতা হ্রাস পায়, বিভিন্ন স্থানে বিস্তীর্ণ জমি নজরে পড়ে ভূমি দস্যুদের।

ডিপ জলের দখলে চলে যায় মিরপুরের গাবতলি এবং তৎসংলগ্ন এলাকার বিরাট অংশ।
লালবাগ-হাজারীবাগের প্রাক্তন দুই সাংসদ দখল করে নেন পুরো এলাকা!
হাজি সেলিম বাবু বাজারের বিপরীত দিকে কালীগঞ্জে নদীর উপর বহুতল মার্কেট ভবন, রহমতগঞ্জ এলাকায় মদিনা প্লাস্টিকের গোডাউন সহ বহু যায়গা নিজ দখলে এবং
দলীয় কর্মীদের দখলে সহায়তা দিয়েছিলেন বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছিল।
আরেক প্রাক্তন সাংসদ হাজি পিন্টু প্রথমে বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদী ভরাট করে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ করার পরপরই বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের দুই পাশের নদী অবৈধ দখলদারদের
হাতে চলে যায় তাঁর-ই সহায়তায়।
সেই সময় বেড়ীবাঁধের ভিতরের অংশে তাঁর নানার নামে খলিল সর্দার কৃষি মার্কেট নির্মাণ সহ অনেক জমি দখল করে নেন।
জোট সরকারের আমলে কোম্পানি ঘাট কামরাঙির চর সংযোগ সেতুর টেন্ডার পায় নাসির উদ্দিন পিন্টুর নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আশা এন্টারপ্রাইজ, কোটি টাকা ব্যয়ে ণির্মিত এই সেতু
নদী ভরাট করে সামান্য অংশে নির্মাণ করা হয়, সেতুটি অত্যন্ত সরু।

এই সেতু নির্মাণের সাথে সাথে সেতুর দুই পাশ ভূমি দস্যুদের দখলে চলে যাচ্ছে, চলে গেছে। নির্মিত হয়েছে বহুতল বিশিষ্ট ভবন, পান্না ব্যাটারি, গ্যাস ফিলিং ষ্টেশন,,,,,

( ছবিতে ব্রিজের একাংশ দেখানো হয়েছে)

এছাড়াও কেল্লার মোড় ,কামরাঙির চর, বছিলা, ঝাউচর এবং অন্যান্য স্থানে যে সব ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত সরু হওয়ায় ব্রিজের দুই পাশ ভরাট করে দখল করা হয়েছে।

নদীর তীরবর্তী ২০০ গজের মালিকানা বি,আই,ডব্লিও,টি,সি'র। এই ২০০শত গজ বাদ দিয়েও প্রতিনিয়ত নদী ভরাট হচ্ছে, জবর দখল হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।

(এরা বিদ্যুৎ সংযোগ পেল কি করে?)

অবৈধ দখলকারীরা এসব সরকারি সম্পত্তি নিজেদের নামে কি করে রেকর্ড করে খাজনা-পাতি দিচ্ছে, কি করে বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ পাচ্ছে জানতে চাই।
কত টাকার বিনিময়ে এসব অবৈধ দখলদারদের হাতে সরকারি জমিন তুলে দেয়া হচ্ছে? তারা কারা?
রাজনৈতিক নেতা, আমলা, সাংসদদের লালসা কবে কমবে?

কেন অবৈধ দখলমুক্ত করা হবেনা এই মর্মে উচ্চ আদালতের নোটিশ জারি হলে কিম্বা পত্র-পত্রিকায় লেখা লিখি হলে কয়েকদিন
তথাকথিত উচ্ছে অভিযান চলে, তারপর আবার সুনসান নীরবতা??
আমরা জনগণ সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে সবিনয় জানতে চাই আপনাদের কি কোন দায়িত্ব নেই?
পরিবেশ বাঁচাতে, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে সরকারগুলো কেন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে?

(ছবি সত্ত্ব সংরক্ষিত)

রোজ ঘুমাতে যাবার আগে যে স্বপ্ন দেখতে চাই

রোজ ঘুমাতে যাবার আগে যে স্বপ্ন দেখতে চাই




১।ভারতের সাথে সম্পাদিত ট্রানজিট চুক্তি এবং অন্যান্য চুক্তির খসড়া জন সমক্ষে প্রকাশিত হয়েছে।

২।আমিন বাজারে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় প্রকৃত দোষী ধরা পড়েছে।

৩।মিডিয়ার সামনে দলের মুখপাত্র ছাড়া অন্য কেউ " কম করে খান" টাইপের বক্তব্য দিচ্ছেন না।

৪।আবুল হোসেন ঢাকা ময়মনসিংহ সড়ক দুর্ঘটনায় পড়তে গিয়েও মুরুব্বীদের দোয়ায় বেচে গেছেন।

৫।দুদক একতরফা কাজ করছে বলে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

৬। বঙ্গবন্ধুর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে খালেদা জিয়া আর কেক কাটছেন না।

৭। দেশের সর্বশেষ রাজাকারটি পুকুর ঘাটে আছাড় খেয়ে মারা গেছেন।

৮। সাহারা খাতুনরা ফারুকের ধোলাইয়ের ঘটনাটি মিডিয়ার বাড়াবাড়ি বলে বিবৃতি দিচ্ছেন না।

৯।............................

১০।.........................

এসব স্বপ্ন দেখিনা আর তাই আমারও কলম বিরতি চলছে। নতুন কোন লেখায় হাত দিইনি।

এরা চুনোপুঁটি অথচ কত সংঘবদ্ধ!

এরা চুনোপুঁটি অথচ কত সংঘবদ্ধ!



বিডি'তে থাকতে পারিবারিক ব্যবসার দেখা শোনা করতে প্রায়-ই ফেঞ্চুগঞ্জ,শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজার এবং সিলেটে যাতায়াত করতে হতো।
২০০১ এর মাঝা মাঝি সময়ে আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে সিলেট থেকে ঢাকা আসছি:-

১। ভৈরব জংশনে বসে আছি ইঞ্জিন বদল হবে, ডাব বিক্রেতা,সিগারেট বিক্রেতা সবার ঝুড়ির নীচে বোতল চোখের ইশারায় বেচাকেনা!

২। বিডিয়ার জওয়ানরা (অধুনা বিলুপ্ত) হাতে স্ক্রু-ড্রাইভার নিয়ে ট্রেনের কামরার এখানে ওখানে খোঁচা-খুঁচি করলেন, এদিক সেদিক উঁকি-ঝুঁকি মেরে নেমে গেলেন।
লুঙ্গী পরা মাঝ বয়সী একজন লোক এলেন,আশ্চর্য দক্ষতায় ট্রেনের দরজার ফ্রেম (ভিতরে বেশ ফাঁপা) খুলে ফেললেন দ্রুততার সাথে ফাঁপা জায়গাটিতে দুইটি বান্ডিল রাখলেন।
মূহুর্তের মধ্যে ফকিরনি টাইপ দুজন মহিলা এসে দরজায় পিঠ দিয়ে বসে পড়লেন। ঐ লোকটিকে আর দেখলাম না।
এটেনডেন্সকে কোথাও দেখতে পেলাম না।

৩। বাইরে তাকিয়ে দেখি বিডিআর সদস্যরা একজনকে তাড়া করছে, সবাই বন্দুক উঁচিয়ে কারো পিছু নিলো।
ষ্টেশন ফাঁকা।
সেই ফাঁকে আমাদের কামরায় এক দম্পতি উঠে এলেন,হাতে বিশাল ট্রলি ব্যাগ!
শ্রীমঙ্গল থেকে ট্রেনটির প্রতিটি আসন যাত্রীতে পুরো ছিল।
ভৈরব এসেও দেখেছি সবাই আছেন।
অথচ এখন দেখি দুটো সিট ফাঁকা পড়ে আছে!
দম্পতির জন্য এই আয়োজন সবই একটা পরিকল্পনার অংশ বিশেষ!!
খুব রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম চোখের সামনে চোর-পুলিশ খেলা!!

৪। ট্রেন ছেড়ে দিল খিলগাঁও এসে দাড়িয়ে গেল;দম্পতি নেমে গেল, ফকিরনি টাইপ বুয়া দুজন নেমে গেল।
উঠে এলো ১৫/১৬ বছর বয়সী এক কিশোর।
মাদ্রাসা ছাত্রদের পোশাক পরনে।
মাথায় টুপি।
আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি।
কমলাপুরে ট্রেন থামবে থামবে অবস্থা ছেলেটি দ্রুততার সাথে একটি চটের ব্যাগ বের করলো,
ঝটপট দরজার ফ্রেমের ভিতরে লুকানো বান্ডিল দুটো ভরল।

তাকে আজ পুলিশে দেব এমন ভাবনা নিয়ে আমিও আমার ব্যাগ নিয়ে নীচে নামলাম।
কোথাও দেখতে পেলাম না! শত শত যাত্রীর ভিতর সে একেবারে হাওয়া!

অনেক বছর পর কথাগুলো আজ আবার মনে পড়লো। মাদ্রাসা ছাত্রের লেবেল যাকে পড়ানো হল সে কি আদৌ মাদ্রাসার ছাত্র ছিল?
ভৈরব ষ্টেশনে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী যা করেছিল তাও কি সাজানো ছিল?
নিরাপত্তা তল্লাশির পর ঐ দম্পতি ট্রেনে চেপেছিল,তাদের জন্য সিট দুটি কোথা হতে বুকিং দেয়া হয়েছিল?
আর তাদের ঐ বিশাল ট্রলি ব্যাগ গুলোতে কি ছিল?
তেজগাঁও কিম্বা খিলগাঁও এলে ট্রেন চালক কার ইশারায় এবং কাদের স্বার্থে ট্রেন থামিয়ে দেয়?

বিচ্ছিন্ন এই ঘটনাগুলো একত্রিত করলে আমরা কি দেখতে পাই?

যাদের অঙ্গুলি হেলনে এসব ঘটছে তাদের খুঁজে বের করার মত দক্ষ,স্বাধীন আর আধুনিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রত্যাশা করাটা কি আদৌ অসমীচীন?

আমার ঈদ ভাবনা: ZERO Gravity তে ভাসছি!!!

আমার ঈদ ভাবনা: ZERO Gravity তে ভাসছি!!!

আমার ঈদ চিন্তা, এবং মনের অনেক প্রশ্ন,,, জবাব গুলো খুঁজে বেড়াচ্ছি......


১। উত্তরবঙ্গে গ্রাম্য শালিসে ইউপি চেয়ারম্যান ও গাঁয়ের তথাকথিত মোড়ল কর্তৃক প্রকাশ্যে নির্যাতন কারীদের এবং ঐ গৃহবধূর ঈদ কেমন হবে?



২। সাভারের আমিন বাজারে পুলিশের উপস্থিতিতে ডাকাত সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারা ৬ ছাত্রের পরিবার ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ঈদ কেমন হবে?


৩। মিরেরসরাইয়ে ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত অর্ধশতাধিক পরিবারের সদস্যদের ঈদ কেমন হবে?




৪। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন, তাঁর পরিবার এবং নিহত মিশুক মুনীরের স্ত্রী মঞ্জুলী ও তাঁর পরিবারের ঈদ কেমন হবে?



৫। রাজনৈতিক হয়রানি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক বিচার অপেক্ষায় নেতা কর্মীদের ঈদ কেমন হবে?


৬। ১/১১ এর রূপকার, বিদেশী প্রভুদের ইংগিত ও ষড়যন্ত্রে ৩ উদ্দিন গংয়ের গ্রেফতার, নির্যাতন, অপমান হয়রানির স্বীকার যারা হয়েছিলেন তাদের ঈদ কেমন হবে!!

মঈন উদ্দীনকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি দাড় না করিয়ে নিরাপদে দেশ ত্যাগ করার সুযোগ দান কারীদের ঈদ কেমন হবে?


৭। বিডিআর বিদ্রোহের পরিকল্পনাকারী ও হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটকদের ও তাদের পরিবারের ঈদ কেমন হবে?


৮। জেল খানায় আটক যুদ্ধ অপরাধী ও তাদের পরিবারের (না কি এটাই তাদের জীবনের শেষ ঈদ হতে যাচ্ছে?) ঈদ কেমন যাবে?


৯। অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবীতে যারা সোচ্চার তাদের ঈদ এবং

মন্ত্রীসভা থেকে এদের বহিষ্কার কেন করা হবেনা এই মর্মে কাল্পনিক কোন উচ্চ আদালতে মহামান্য বিচারপতি সরকারের প্রতি রুল জারী করে বসলে তাঁর ঈদ কেমন হবে?


হাসিনা, খালেদা, এরশাদ আপনারা দ্যাশের মা বাপ! আপনাদের জন্য ঈদের শুভেচ্ছা!!


ঈদ মোবারক।

ছবি সূত্র: আন্তঃজাল।

পুলিশের ঔদ্ধত্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন:দায় কার?

পুলিশের ঔদ্ধত্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন:দায় কার?



পুলিশের ক্রমশ: বেপরোয়া হয়ে উঠার পিছনে কারণগুলো কারোরই অজানা নয়!
তারপরেও বলতে হয়,

১। পুলিশকে বিরোধী দলী, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঠেঙানোর জন্য দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করা
বিরোধীদলের কর্মসূচীতে সরকারের "জিরো টলারেন্স" মনোভাব ও কড়া হুঁশিয়ারি পুলিশকে উস্কে দিতে সহায়তা করে
(অবস্থা এমন যে পুলিশকে যদি বলা হয় ডেকে নিয়ে আসো তবে এরা বেধে নিয়ে আসে)।

২। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ এবং নিয়োগ প্রাপ্তদের নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে, দলীয় তদবিরে ব্যবহার করা

৩। পুলিশের অপকর্মের বিচার না হওয়া, তাদের মধ্যে যারা ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে সেই অবৈধ আয়ের বখরা দুর্মূল্যের এই বাজারে বড় সাহেবদের
টেবিলে পৌঁছে যাওয়া

৪। পুলিশের নির্যাতন, অপকর্ম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেখে মহামান্য উচ্চ আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কিম্বা কোন রুল জারী না করার
কারণে (সম্প্রতি মহামান্য আদালত ল্যাব-এইডের অবহেলায় মৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের পক্ষে যেমনটি করেছেন) পুলিশ বাহিনী নিজেদের ধরা ছোঁয়ার
ঊর্ধ্বে ভাবছে। তাদের মনোভাবে নেতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন আগের চাইতে অনেক বেপরোয়া।

পুলিশের নির্যাতনে ৫ বার নির্বাচিত সাংসদ জয়নাল আবেদিন ফারুক আহত হলেও পুলিশকে বাঁচাতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর পুলিশকে বাঁচাতে সাফাই গাওয়ার
পরিণতি আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি!

সেদিন যদি বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি ঘটন করা হতো তাহলে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে পুলিশ ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে পঙ্গু করে দিচ্ছে এটা দেখতে হতো না।

সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন (এম ইউ) আহম্মেদকে পুলিশ হেফাজতে প্রাণ দিতে হতোনা।

স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে আমরা এ কোন দেশে বসবাস করছি।

সরকারকে আমরা নির্বাচিত করি জনগণের জান-মাল হেফাজতের জন্য।
গণতন্ত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার প্রশ্নটা কি এতোই ঠুনকো যে একজন আইনজীবীকেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বলি হতে হয়?

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস: চাই সামাজিক আন্দোলন,ব্যাপক গণসচেতনতা

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস: চাই সামাজিক আন্দোলন,ব্যাপক গণসচেতনতা


"হাসপাতালে প্রসব করান, মা ও শিশুর জীবন বাঁচান" স্লোগান সামনে রেখে আজ সারাদেশ ব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস।
গর্ভবতী মা ও শিশুর নিরাপদ স্বাস্থ্য ও প্রসবকালীন মৃত্যু হার কমানোর কথা চিন্তা করে ব্যাপক সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সাল থেকে
পালিত হয়ে আসছে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’।

সাম্প্রতিক বছর গুলোতে মা ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমলেও নিরাপদ শিশু জন্মদানের জন্য বাংলাদেশের সকল মা এখনো হাসপাতালের
সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
গ্রামাঞ্চলে সন্তান জন্মের সময় এখনো অনেকেই অনভিজ্ঞ দাইয়ের শরণাপন্ন হচ্ছে এবং তাদের হাতে এখনো মা ও শিশুর মৃত্যু ঘটছে।
কিম্বা প্রসব পরবর্তী মৃত্যু-ঝুঁকি,নবজাতকের নানা রকম শাররীক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে,শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে বাংলাদেশে এখনো প্রতি ঘণ্টায় একজন করে মায়ের মৃত্যু হচ্ছে।
প্রতিবছর সারাবিশ্বে ২১ কোটি নারী গর্ভবতী হয় এবং দুই কোটিরও বেশি নারী গর্ভ-জনিত স্বাস্থ্য-সমস্যায় ভোগে।
এদের মধ্যে আবার ৮০ লাখের জীবনাশঙ্কা দেখা দেয়।
শহরাঞ্চলের মায়েদের হাসপাতাল সেবা গ্রহণের সুযোগ থাকলেও দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস কারি গর্ভবতী মায়েদের কাছে এখনো
আধুনিক চিকিৎসা সহজলভ্য হয় উঠেনি।
নানা ধরনের কুসংস্কার,অজ্ঞতা,কঠোর ধর্মীয় মানসিকতার কারণে অনেকেই দাই নির্ভর হয়ে থাকেন।
আর এই অনিরাপদ ডেলিভারি মা ও শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়,অনেক সময় সন্তান প্রসবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগলে গায়ে, হাতে-পায়ে পানি, অতিরিক্ত মাথা ধরা, ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়া, একলাম্পশিয়ার চিকিৎসার জন্য চাই অভিজ্ঞ ডাক্তার কিম্বা
হাসপাতাল।
কাজেই গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মাকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা,চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি হাসপাতাল,চিকিৎসা,পর্যাপ্ত ডাঃ,আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব এখনো প্রকট।
মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র,স্যাটেলাইট ক্লিনিক(NGO) এবং বিভিন্ন সংস্থার মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোর দশা এতোটাই খারাপ যে
সার্বক্ষণিক ডাঃ এর অভাব খুব প্রকট,এসব ক্লিনিকে অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকেনা,বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবার কথা থাকলেও
একশ্রেণীর নার্স,আয়া রোগী কিম্বা তাঁদের আত্মীয়-স্বজনকে বাইরে থেকে বিভিন্ন ঔষধ কিনতে বাধ্য করছেন।

আমরা নারী স্বাধীনতার কথা বলি,প্রশ্ন হচ্ছে গ্রামাঞ্চলে নারীরা কতটা স্বাধীন?
যেখানে সংসারের সকল কিছু কর্তার ইচ্ছের উপর নির্ভর করে?

‘জরুরি প্রসূতি সেবা নিতে প্রসূতি মা যেন হাসপাতাল মুখী হন' এ বিষয়ে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে;ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন-ই
পারে মা ও শিশুকে নিরাপদ রাখতে।

আসুন সকলে মিলে ধর্মীয় গোঁড়ামি,কুসংস্কার,অজ্ঞতা থেকে নারীকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করি।


ছবি সূত্র:ইন্টারনেট

এ বছর পবিত্র হজ্ব ব্রত পালনে ইচছুক :জেনে নিন-২

এ বছর পবিত্র হজ্ব ব্রত পালনে ইচছুক :জেনে নিন-২


পবিত্র হজ্ব পালনেচ্ছুগন:জেনে নিন-১

হোটেল থেকে বেরুবার আগে পবিত্র হয়ে নিন,অজু সেরে নিন ;যদিও পুরো মক্কাশরিফ জুড়ে অসংখ্য টয়লেট রয়েছে,মাটির নিচে কিংবা ওপরে খুঁজে পেতে কিছু সময়ের অপচয় তো হবেই!
হজ্বের সময় যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করে। প্রচুর হাঁটার জন্য প্রস্তুতি রাখুন, সেই সাথে কয়েক জোড়া আরামদায়ক স্লিপার সাথে রাখুন।
যদি হারিয়ে যান (হারাবেন তো অবশ্যই),সর্বত্রই খুঁজে পাবেন ‘হজ্জ সহায়তা বুথ’। তারা আপনাকে হোটেল, তাঁবু, জমারাত, মসজিদ খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
হজ্ব ও ওমরাহের সময় যদি কোনও জিনিস কোথাও ফেলে যান, ওটা কিন্তু আর খুঁজবেন না। বরং আপনার জিনিসপত্র লাগেজ বক্স এ ভালোভাবে রাখুন। নিজের অর্থকড়ি ঠিকমতো রাখা অথবা মানুষের সাথে লেনদেনের বেলায় সাবধান হোন। পকেটমার হতে পারে যে কোনও সময়।(বাংলাদেশী,পাকিস্তানীরা ছাড়াও আফ্রিকান কেলো গুলু থেকে দুরে থাকবেন।) ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও জিনিসপত্র রক্ষায় নিজেই সচেতন থাকুন। হারাম শরীফে(কাবা’য়) প্রবেশের সময় নিরাপত্তা পুলিশ দ্বারা তল্লাশির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।কোন পুলিশ ও অফিসারদের সাথে অযথা তর্কবিতর্কে জড়াবেন না। ক্যাম্পে (মিনায়) অবস্থানের অনুমতিপত্র সাথে রাখুন।

ধারনা করা হচ্ছে আরাফাত ময়দানে এ বছরও প্রচণ্ড গরম থাকবে তাই প্রচুর পানি বা প্রচুর তরল পানীয় পান করুন। সবসময় নিজের সাথে পানি রাখুন। এনার্জি ড্রিঙ্ক, নানা রঙ বে-রঙের পানীয় ও শক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ইয়োগার্ট, দুধ ফল এবং ফলের রস শরীরে দ্রুত ও দরকারি পুষ্টি যোগায়। এসব বেশি বেশি খাবেন।

নিশ্চিত থাকবেন যে প্রত্যেকটি আহ্কাম পালনে আপনি সঠিক জায়গায় অবস্থান করছেন। আরাফাত থেকে মুযদালিফায় ফিরে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করতে হয় ; অনেকে আরাফাতের সীমানায় থেকে যান। এটি মনে রাখা খুবই জরুরি। হজ্বের আহ্কাম ভুল করা যাবে না। আবার অনেকে আগেভাগে মিনা’য় চলে যান তাদের তাবুতে ; এ ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত দুর্বল, বয়স্ক ছাড়া কারও মিনায় অবস্হান করা ঠিক নয়।
মনে রাখবেন যুলহজ্জ্ব এর ৮ তারিখ আপনাকে অবশ্যই মিনায় রাত কাটাতে হবে। ৯ তারিখ মাগরেব পর্যন্ত আরাফাত ময়দানে। চেষ্টা করবেন মসজিদে নীমেরা'র কাছাকাছি অবস্হান করে খুতবাহ্ শুনতে।

মাগরেব এর পর আরাফাত এর সীমানা পেরিয়ে মুযদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন।


১০ তারিখ জমারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করার পর মাথা মুণ্ডন করতে পারেন। মনে রাখবেন শুধুমাত্র সৌদি সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত ক্ষৌরকারদের কাছে কাজটি করাবেন। আশপাশে অনেক পাকিস্তানি কিংবা মিশরীয় ক্ষৌরকার তুলনামূলক সস্তায় কাজটি করবে। কিন্তু যেহেতু তারা ডিজপোসেবল ক্ষুর-কাঁচি ব্যবহার করে না তাই নানান সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।

আপনার ভাগ্য সহায়তা করলে মিনায় জমারাতের ১/২ কিলোমিটারের মধ্যে তাঁবু পেয়ে যেতে পারেন।(বেসরকারি হজ্ব আয়োজনকারী সংস্থাগুলো নিজেদের মুনাফার কথা-ই বেশী ভাবেন। মিনায় তাঁবু জমারাতের যত নিকটে হবে তার ভাড়াও তত বেশী,ধরে নিন আপনাকে তারা সেবা দানের জন্য চ্যারিটি খোলেননি)আমি ২০০৬ এ বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি ব্যবস্হাপনায় হজ্বে এসেছিলাম। তখন দেখেছি বাংলাদেশীদের তাঁবু মিনার একেবারে শেষ মাথায়।ধরে নিন পায়ে হেঁটে আপনাকে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।

সঙ্গে ছাতা রাখবেন(ছাতা পেয়েও যাবেন বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানী বিনামূল্যে ছাতা বিতরন করে থাকে), বিশেষ করে রেমী (শয়তান কে কঙ্কর মারা) করার সময়। মহিলা, শিশু, দুর্বল, অসুস্থ এবং বৃদ্ধ লোকদের জন্য রেমী করতে যাওয়া উচিত নয়। যে কোন সক্ষম লোক অন্যের(প্রতিনিধি)হয়ে রেমী করতে পারেন। যদি আপনার কিছু পড়ে যায় বা আপনার স্লিপার হারিয়ে যায় তবে নিচু হয়ে তুলতে যাবেন না। আপনি দ্রুত পদদলিত হয়ে যেতে পারেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অতীতে অধিকাংশ মৃত্যুই রেমী করার সময় ঘটেছে। যদিও জমারাত বিশাল বড় করা হয়েছে। আগের মতো মৃত্যুর ঝুঁকি থাকছে না ; তবুও সাবধান থাকবেন। দূর থেকে আপনি জমারাতে পাথর মারতে চেষ্টা করবেন না। এতে অন্য হাজির গায়ে সে পাথর লাগতে পারে।
(হাজিদের যাতায়াতের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ইতিমধ্যে মক্কা,মিনা,মুযদালিফা,আরাফাত এ বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্হা থাকছে এবছর,যদিও
জিসিসি দেশের হজ্ব যাত্রী এবং সৌদি নাগরিকরা-ই শুধু এতে চলাফেরার সুযোগ পাবেন,ধারনা করা হচ্ছে এতে করে যানজট অনেক কমে যাবে।)

আইয়ামে তাশরিক এর দিনগুলোতে অনেকে কঙ্কর নিক্ষেপ করার পর বেশি বেশি ছওয়াব এর আশায় মক্কা শরিফে চলে যান, সেখানে নামাজ আদায় করেন। মনে রাখবেন আপনি যেখানেই থাকুন না কেন মিনায় এসে আপনাকে রাত কাটাতে হবে।

এ বছর কোরবানির জন্য ৪১০ সৌদি রিয়াল ধার্য করা হয়েছে। পশু কোরবানি দেয়া অনেক পরিশ্রমের কাজ। তাই কোরবানির টাকা ব্যাংক এ জমা করুন। অবশ্য আপনার মোয়াল্লেমগণ আপনাদের নির্ধারিত টাকা জমা নেবে, পশু জবাই করবে এবং আপনাদের মিনায় তা খাওয়াবে।
এবং কোরবানির দিন থেকে আপনার খাবারের মেনুতে গরু/খাসি যোগ হবে।

যাদের ডায়াবেটিক আছে তাঁরা শাক-সবজীর কথা ভুলে যাবেন এটাও গ্যারান্টেড!(চলবে)

পবিত্র হজ্ব পালনেচ্ছুগন:জেনে নিন-১

পবিত্র হজ্ব পালনেচ্ছুগন:জেনে নিন-১


এরই মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্হাপনায় অনেকেই পবিত্র হজ্বব্রত পালনের নিয়ত করে বিভিন্ন প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন অথবা করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ থেকে আগত অধিকাংশ হাজি নানা ভোগান্তি ও কষ্টের মধ্য দিয়ে একসময় জেদ্দা এয়ারপোর্টে এসে পড়েন।
হজ্ব ফ্লাইটের অব্যবস্হাপনা ও ফ্লাইট স্বল্পতার কারণে অপেক্ষমাণ হাজিদের দুর্গতির সীমা থাকে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।

আমাদের দেশে হজ্ব পালনেচ্ছুদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশি বয়স্ক আর দুর্বলদেহী মানুষের সংখ্যাই বেশি। আমি একমাত্র ভারত,পাকিস্তান আর বাংলাদেশীদেরই নানান দুরাবস্হায় পড়তে দেখেছি ; বিশেষ করে যারা বয়সের ভারে ন্যুব্জ,যারা ইনস্যুলিন নির্ভর, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, হাড় ক্ষয় এবং অন্যান্য জটিল রোগে ভুগছেন তাঁরাও আসছেন। যারা পরিশ্রমী নন অথবা কায়িক শ্রমে যথেষ্ট অভ্যস্ত নন তাঁরা কিন্তু বিপদে পড়ে যাবেন – এ কথা বলাই বাহুল্য।

প্রথমেই দেখে নিন আপনাকে হজ্ব-ভিসার (সৌদি আরবের মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত) মূল কপি দেয়া হয়েছে কী না। লেমিনেটিং করে তা গলায় ঝুলিয়ে নেবেন। এ ছাড়াও আপনাকে বেশ কিছু ডিজিটযুক্ত একটি হ্যান্ড-ব্যান্ড দেয়া হবে (আপনার আইডি’র কম্পিউটার কোড) ; সেটি হাতে পরে নিন।
গলায় সব সময় ঝুলিয়ে রাখার মতো একটি ট্রাভেল-ব্যাগ নিতে ভুলবেন না।

মক্কা ও মদিনার যে কোনো হোটেলেই থাকুন না কেন, আপনার আয়োজক, মোয়াল্লেম এর বিজনেস কার্ড / মোবাইল নাম্বার সাথে রাখবেন। তাঁরা দূরে গেলে বা হারিয়ে গেলেও সহায়তার প্রয়োজনে আপনি তাদের কাছে সমস্যা জানাতে পারবেন। ফলে তারা আপনাকে যথাযথ দিকনির্দেশনা দিতে ও দরকারি সহযোগিতা করতে পারবেন।

মক্কায় পৌঁছেই আপনি ধাক্কা খাবেন। কেন না চুক্তি মোতাবেক হয়তো তাঁরা আপনাকে হারাম শরীফের ৫০০ মিটারের মধ্যে আবাসিক হোটেল দেবে বলেছিল, আপনি পেলেন ২ কিলোমিটার দূরে! অতএব পদব্রজ! অথবা দূরে কোথাও(অধিকাংশ হাজিদের আজিজিয়া নামক স্হানে থাকতে হবে); আপনাকে আসতে যেতে হবে হোটেলগুলোর নিজস্ব পরিবহন কিংবা ব্যক্তিগত ব্যবস্হায়।

বাংলাদেশীদের (সরকারি কিংবা বেসরকারি, যে প্যাকেজই হোক না কেন) রাখবে নিম্নশ্রেণীর হোটেলে গাদাগাদি করে। ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত আপনার জন্য যে খাবার দেয়া হবে তা দেখে আবারও আপনি ভিরমি খাবেন! খাবার অযোগ্য বার্মিজ রুই মাছ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিন-মার্কা ডাল কিংবা ফার্ম চিকেন। মুখে দিতে পারবেন না। এটি কিন্তু গ্যারান্টেড!

এ সময় চাই অফুরন্ত প্রাণশক্তি আর উদ্দাম। অতএব প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন, এই দীর্ঘ সময় আপনাকে হয়তো আধপেটা থাকতে হবে অথবা বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে অ্যারাবিয়ান ফুড কিনতে হবে।
আপনাকে আয়োজকরা বোঝাবে, খেতে আসেননি ; এসেছেন আখেরাতের ফায়দা হাসিল করতে!
পটে যান, চুপ থাকেন, সেটিই বোধ হয় বেটার। (চলবে)
ছবি:ইন্টারনেট।

ভালবাসি হয়নি বলা়.........

ভালবাসি হয়নি বলা়.........



“বাবা তোমার গলা এমন শোনাচ্ছে কেন? তোমার কি শরীর খারাপ?”
এপাশ থেকে অবাক হয়ে যাই, কত জনের সাথে একে একে কথা বললাম কেউ ধরতে পারল না!
মা, তুমি কি জানো আমার চোখ এখন ছল ছল!!



সাত ভাই আর এক বোনের সংসারে পিঠা-পিঠি ভাইবোন আমরা! ছোটকালে দেখেছি মা একটুও বিরক্ত হতেন না আমাদের হই-চই আর আবদারে। আর বাবা সবসময় গম্ভীর, ভাবখানা, 'হতচ্ছাড়া গুলো এমন করছে কেন?' মায়ের চোখে দেখতাম ভালবাসা আর মমতা নিয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে বলছেন, "আপনি এমন করেন কেন, ওরা ছোট, বোঝেনা!"

মা, মাগো... আমার সব মনে আছে। তুমি আমাদের কি মমতায় বড় করেছ, বাবা সারাদিন ব্যস্ত তাঁর ব্যবসা আর কাজ নিয়ে। সেই সকালে বেরিয়ে যায় ফিরে সন্ধ্যের অনেক পর।

সাথে এক-গাদা বাজার, তুমি একটু বিরক্ত হতেনা! বরং তোমার চোখে মুখে দেখতাম এক ধরনের প্রশান্তি কাজ করছে। ফুলির মাকে নিয়ে ব্যস্ত মাছ কাটতে, রাতের খাবার যোগাড়ে, এরই মাঝে আমাদের জন্য চা, নাস্তা; বাবার জন্য চা, তাঁর সব কিছু এগিয়ে দিতে অক্লান্ত ভাবে।

আমরা কে কি খেতে ভালবাসি তা তুমিই জানতে আর তাই তোমার রান্না হত সে রকম করেই! মা, তোমার মনে আছে আমি ইলিশ মাছ ভাজা ছাড়া খেতে পারতাম না, আর মুরগির কলিজা আমার জন্য কেউ ভাগ পেতোনা!!

মা, তুমি আমায় শিখিয়েছ কি করে নিচু স্বরে কথা বলতে হয়, তুমি বলেছ, "বাবা কখনো মিথ্যা বলবেনা, অন্যায় করবেনা, চুরি করবেনা, অন্যের হক মেরে খাবেনা, অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেবেনা, অসৎ লোকের সাথে মিশবে না, যারা গরিব আর অসহায় নিজের জীবন দিয়ে তাঁদের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়বে!!" তুমি শিখিয়েছ বড়দের কি করে সম্মান দিতে হয়, অতিথিকে কিভাবে আপ্যায়ন করতে হয়। তুমি শিখিয়েছ মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা কেমন হতে হয়..!!!

এই তোমার কঠিন মুখটিও আমি দেখতাম!শুক্রবার এলে বলতে,”সারা বছরতো নামাজ পড়-ই না,আজ ঝাটা নিয়ে বসলাম,নামাজ না পড়লে খানা নেই!!”

মা, তোমার মনে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার দিন গুলোর কথা? এক বিশ্ব-বেহায়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করি; রাজপথে, মিছিলে, পিকেটিং-এ ব্যস্ত থাকি.... বাবা সব খবর পেয়ে সেকি মার; সারা গায়ে দগদগে ঘা। তুমি কেঁদেছ নিরবে, সেই ঘায়ে মলম লাগিয়েছ, তোমার চোখের জল, নোনা জল আমার জ্বলুনি বাড়ালেও কি আবেগে যে ভেসেছিলাম সেদিন মা! তুমি বাবার সাথে রাগ করে ৩ দিন কথা বলনি, বাবা শুধু রাগে গর গর করছেন, আর তুমি ঘুমালে আমার ঘরে.......

বাবা বলতেন, "কি হবে এই দেশের নষ্ট রাজনীতি করে? মাওলানা ভাষানীর মত নিঃস্বার্থ দেশ প্রেমিক নেতা কোথায়!!শেখ মুজিব আর জেঃ জিয়া দেশকে ভালবেসে নিজেদের প্রান উৎসর্গ করে গেছেন।কোন রাজনৈতিক নেতার ছেলেকে দেখেছ গুলি খেয়ে মারা পড়তে,কিম্বা বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাগুলি করে মারা পড়তে?এসব ধোঁকা,এছাড়া আমার ব্যবসার ক্ষতি হয়, সরকারী দলের লোকেরা শাসায়, ”আপনার ছেলেকে সাবধান করেন, নাহলে ধরে এনে জেলে ঢুকাবো"। বাবা চাইতেন না তার ছেলে এসব করুক...।মা বলতেন, ''আর যাবেনা'' বাবাকে লুকিয়ে সবই করতাম, প্রশ্রয় দিতেন মা.........

এরই মাঝে ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা এসে গেল। নিয়ম মত শতকরা ৭৫ ভাগ উপস্থিতি চাই, আমার তা নেই। চেয়ারম্যান স্যার বললেন, "তুমি এক্সাম দিতে পারবেনা, যদিনা তোমার বাবা।মা সুপারিশ করেন"। বাবা আসেননি, মা এগিয়ে এলেন তাঁরই কোনো এক বান্ধবীকে (যিনি শিক্ষিকা ছিলেন) ধরে আমার এক্সাম এর ব্যবস্হা করিয়ে দিলেন, স্যারকে কথা দিলেন এরপর তিনি নিজে আমার বিষয়টি দেখবেন।

মা তোমার মনে আছে তুমি বলেছিলে, ''হলে উঠে যাও তাহলে ক্লাস মিস হবে কম।'' বাবার সাথে এ নিয়ে আবার তোমার মনমালিন্য হলো। আমি হলে উঠে গেলাম। ক্যান্টিনের খাবার মুখে দিতে পারিনা। ডালের পানি দেখলে চোখে জল আসে!!! তুমি লুকিয়ে টাকা দিতে; সেই টাকায় 'নিরব' বা 'মিতালি'তে খেতাম।

বাসায় এসে তোমায় বলতাম, "মা তোমার মত করে কেউ রাঁধতে পারেনা, আমি হোস্টেল এ যাবনা"। তুমি বলতে,"ঠিক আছে অন্তত দুপুরে এসে বাসায় খেয়ে যেও"। রিক্সা ভাড়ার টাকা বাবাকে লুকিয়ে মা-ই দিতেন।

আমার বন্ধুরা বলত, ''দোস্ত হলের ক্যান্টিনের খাবার খেতে খেতে পেটে চর পরে গেছে। খালাম্মার হাতের রান্না খাব।'' মায়ের অতিথি আপ্যায়নের কথা ভুলিনি। ২।৩ রিক্সা চড়ে বাসায় গিয়ে হানা দিতাম অসময়ে। মা মোটেও রাগ করতেন না। বলতেন, "আহারে আমার বাছাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। এই সরবত আর বিস্কুট খাও; এখনি খাবার দিচ্ছি।'' বন্ধুরা যা যা খেতে ভালবাসত, সেই উচ্ছে আর চিংড়ি ভাজা, পুঁই-শাক, ইলিশ মাছের মুড়ো দিয়ে কচুঁশাক... নিমিষে রান্না হয়ে যেত!

মা আজ কতদিন সেই সব খাবার খাওয়া হয়না তুমি কি জানো?
তোমায় ছেড়ে আজ একটি যুগ প্রবাসী হয়েছি।
তুমি প্রায়-ই বল, "কেন পড়ে আছো বাবা! অনেক তো হলো আর কি চাও? কতদিন তোমায় দেখিনা। লক্ষ্মী বাপ আমার, এবার চলে আসো। আমি আর তোমায় বিদেশ করতে দেবোনা।"

"মা মাগো এমন তো কথা ছিল না...
আমিতো আজীবন আদরে আহ্লাদে বড় হয়েছি,
একটু রোদে যাবার জো'টি ছিল না তোমার বকুনিতে
আজ তোমার মুখটি অস্পষ্ট

মা! মাগো!
এমন তো কথা ছিলনা...
আমি একটু সুখের আশায় তোমায় ছেড়ে
যোজন যোজন পথ পাড়ি দিয়েছি
সেই সুখ আজ নিয়নের আলোয় ভেসে যাচ্ছে...
তুমি কি তা বুঝতে পারো?"
মা কে বড্ড মনে পড়ছে

ভণ্ড-পীর,অলি:বেঈমান বাবা সমাচার

ভণ্ড-পীর,অলি:বেঈমান বাবা সমাচার



দেশ থেকে আম্মা কিছু বই আর খাবার পাঠিয়েছেন। ছুটির দিনে সেগুলো আনতে চলে গেলাম। জিনিসগুলো আনতে যার বাসায় গেলাম, তিনি বসতে দিলেন। আমি বসে লক্ষ্য করছিলাম; দুই বেড এর একটি ছোট ঘর, মাঝখানে একটি টেবিল পাতা। টেবিলের ওপর বই, চিরুনি, ভেসলিনের কৌটা ছাড়াও বিশাল এক ফ্রেমে বাঁধাই করা একটি ছবি আমার মনোযোগ আকর্ষণ করলো। সেই ছবির ওপর জড়ানো ৪।৫টা তসবি দেখে আমি চমকে উঠলাম। তসবির আড়ালে আবিষ্কার করলাম একটি লোকের ছবি। এমনভাবে সেই ছবি তসবি দিয়ে জড়ানো হয়েছে যে খুঁটিয়ে লক্ষ্য না করলে বোঝার উপায় নেই যে, ছবির লোকটি একটি বিশেষ আসন গেড়ে বসে আছে।

আমাদের ভালো লাগল না। আবার কৌতূহল দমন করাও সম্ভব হচ্ছে না। জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম, ''ভাই, ইনি কে?'' ভদ্রলোক বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেন। আমি গলায় আরো একটু আগ্রহ ঢেলে জিজ্ঞাসা করলাম, ''আহ, বলুন না, ইনি কে? আর আপনি মূর্তি পূজারীদের মত এর ছবি বাঁধাই করে তসবি দিয়ে ঢেকে রেখেছেন কেন? বিশেষ কেউ নাকি?'' আমার সাথে আমার যে বন্ধু গিয়েছিলেন, তিনিও চেপে ধরলেন, ''বলেন ভাই, শুনি।''

ভদ্রলোক বললেন, ''ইনি আমার পীর।'' আবারও আমি প্রশ্ন ছুঁড়ি, ''নাম কি? কোথায় থাকে? তার বিশেষত্ব কি?''

''এনার নাম বেঈমান বাবা...'' অত্যন্ত ভক্তির সাথে ভদ্রলোক উত্তর দিলেন, ''থাকে অমুক জায়গায়।''

বলে কি? বেঈমান বাবা!! আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল, ''আচ্ছা, বাবা যে বেঈমান, সেটা তো বলেই দিচ্ছেন। তার ওপর ভরসা কি? আর আমাদের দ্বীন তো পরিপূর্ণ। পবিত্র কোরান, নবী ও রাসুলগনের দেখানো পথ কি আপনার জন্যেও যথেষ্ট নয়? আপনি যেভাবে এই ছবির মানুষটিকে বিনয় দেখাচ্ছেন, তাকে শ্রদ্ধার্ঘ দিচ্ছেন, তা প্রকাশ্য শিরক! আল্লাহ তো তাঁর সাথে কোনো শিরক পছন্দ করেন না।

ভদ্রলোক বললেন, ''পীর সাহেবের হাত ধরেছি। একজন পীর ৪০,০০০ মুরিদকে সাথে করে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।''


লা হাওলা ওলা কুয়াতা... এই লোক বলে কি?

আমার সাথে বরিশালের এক কোরআন-এ-হাফেজ বন্ধু ছিল সে জিজ্ঞাসা করলো, ''আপনি নামাজ পড়েন?''
''হ্যাঁ, পড়ি।''
''পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে কম পক্ষে ৩০ বার সূরা ফাতিহা পড়েন না? সেখানে কি মহান আল্লাহকে বলেন না, ....
”যিনি বিচার দিনের মালিক, আমরা একমাত্র তোমার'ই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমার'ই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও?''

তিনি বললেন,''বাদ দেন।''
ব্ন্ধুটি, ''কি করে বাদ দেব?''
''হ্যাঁ, বলি।''
''অর্থ জানেন? আপনি কার এবাদত করেন?

মহান আল্লাহ তায়ালা কী বারবার পবিত্র আল-কোরআনে সতর্ক করেন নাই?

"মনে রেখে যারা আল্লাহর(অলি যারা) বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে।"(সূরা ইউনুস, আয়াত ৬২)।(তাই বলে তাঁদের পূজা করা যাবেনা।)

"আর উপাসনা করে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন বস্তুর, যা না তাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে, না লাভ এবং বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশ কারী।"(সূরা ইউনুস, আয়াত ১৮)।

"যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উপাস্য রূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের এবাদত এজন্যেই করি,যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়।“(সূরা আল-যুমার,আয়াত ০৩)।

“আর আসমানে কত ফেরেশতাই না রয়েছে যাদের সুপারিশ সামান্যও কাজে আসবেনা যতক্ষণ না আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সুপারিশ করার অনুমতি দেবেন, যার উপর তিনি সন্তুষ্ট থাকেন তার জন্য”(সূরা আন্-নাজম,আয়াত ২৬)।

এই যাকে ইচ্ছা অনুমতি দেবেন কথাগুলো আপনাদের পীর বাবাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়নি।
মোফাছ্ছির গন বলেন,কাল কেয়ামতের দিন সকল নবী রাসূলরাই একের পর এক সুপারিশে অপারগতা প্রকাশ করবেন।সকলেই নিজেদের ছোট ছোট ভুলের কথা ভেবে পেরেশান থাকবেন।
একমাত্র রাসূল (সঃ)কেয়ামতের ময়দানে সেদিন সেজদায় নত হবেন তাঁর উম্মতের জন্য সুপারিশ করার অনুমতি পাবার আশায়।আল্লাহ তাঁকেই সেদিন অনুমতি দেবেন।কোন পীর কোন,অলি কে নয়!

সে আবারও জনতে চাইলো,”কে আপনার জন্য শেষ বিচারে সুপারিশ করবে? আপনার ওই বাবা? না কি আমাদের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা?''

আমিও তাল মিলালাম,”বলেন না শুনি!”

ভদ্রলোক ক্রুর দৃষ্টিতে আমাদের ভস্ম করে দিতে চাইলেন।

আমার সারাদিন

আমার সারাদিন


সকালে উঠে চা বানাবো
এটাই আমার রুটিন।
রান্নাঘরে জ্বললে চুলো
সেদিন আমার সুদিন!

টুথব্রাশে পেস্ট লাগিয়েছি
কল খুলেছি যেই
হতাশ হয়ে দেখি এবার
কলে পানি নেই।

অফিস যাব সময় মত
দু'দিন ছিল দেরী
রিক্সা, ট্যাক্সি, বাস চালকের
দয়ার খোঁজে ফিরি।

দেরী মাত্র আধ ঘণ্টা
বিষয় বড় নয়
এই বেলাতেই বিদ্যুৎ নেই?
ভাগ্য কারে কয়?

নাস্তা খাব এই গরমেই
অর্ডার দিয়ে দেখি
ডিম, পরোটা, আলু ভাজি
সঙ্গে মিষ্টি চাখি।

এক ঘণ্টায় নাস্তা সেরেই
পেটে ব্যথার শুরু
দরদরিয়ে হচ্ছে যে ঘাম
কী বলবো গুরু।

ডাক্তার বা হাসপাতালে
কোথায় যাব, ভাই?
ফাঁপা পেটে হাঁটছি আমি
কিছু যদি পাই।

হাসপাতালে পৌঁছে আমি
ডাক্তারকে খুঁজি
রোগী ছাড়া আর কেউ নাই
অবস্থাটা বুঝি।

এইদিকে তো গেল পরাণ
পেটের বেদনাতে
মরবো নাকি এই অচিরেই
বিনা চিকিৎসাতে?

এমনি করে সময় কাটে
পেট ব্যথা হয় শেষ
ডাক্তারকে না দেখিয়েই
শরীর ভালো বেশ!

বের হয়েছি, ফিরব কোথায়?
অফিস নাকি বাড়ি?
দুপুরে তো হয়নি খাওয়া
টান দিচ্ছে নাড়ী।

রেস্তোরাতে ঠাণ্ডা খেয়ে
ভুঁড়ি ভোজন করি
আজ দিনটা ভালই গেল
কাল বাঁচি কি মরি...

বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট: আসুন দেখি কি হতে যাচ্ছে: শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ. প্রত্যাশা-৩




বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট: আসুন দেখি কি হতে যাচ্ছে।প্রত্যাশা-১
বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট: আসুন দেখি কি হতে যাচ্ছে।প্রত্যাশা-২

মুক্ত বাজার অর্থনীতি আমাদের জন্য কতোটা সফলতা বয়ে আনছে তা ভাবার সময় এসে গেছে।


আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের দিকে তাকালে দেখা যাবে দেশটি নিজেদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে আমদানি বাজার এখনও
কঠিন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা শিল্পায়নে বিশেষ করে আইটি, গাড়ী ও গাড়ীর যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইল, ইলেকট্রনিক, মুঠো ফোন, ফাইবার অপটিকস, কৃষি সহ অনেক খাতে প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেছে। আমাদের উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করতে পারছিনা। তাদের সাথে বাণিজ্য বৈষম্যের পরিসংখ্যান এতোটা-ই বেশী যে আঁতকে উঠা ছাড়া আমাদের বোধকরি কিছুই বলার নেই।
তাই আমরা চাই রফতানি বৃদ্ধি,বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সকল ধরনের প্রস্তাব জাতীয় বাজেটে রাখা হোক।

মানব সম্পদ (প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ) আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখছে, প্রবাসীদের নিজ দেশে বিনিয়োগের প্রস্তাব রেখে ই.পি.জেড এর মত কোন বিনিয়োগ পল্লী স্থাপনে বাজেটে প্রস্তাব রাখা হোক এবং অর্থ বরাদ্দ করা হোক।

রফতানি বৃদ্ধি, বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানের ঘোষণা দিতে হবে ।
গার্মেন্টস, হিমায়িত মৎস্য, সফটওয়ার ও IT খাতে রফতানি, হস্ত ও চামড়া-জাত দ্রব্য, সিরামিক, ঔষধ শিল্পে আমরা বিশ্ব বাজারের একটা বড় অংশ দখল করতে পারি ।


বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এক স্তর পদ্ধতি (single stage) চালু করায় আমাদের বস্ত্র খাত মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে । সুতার দাম প্রতি কেজিতে এক ডলার কমার পরেও বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে ৪০% ।
এর প্রধান কারণ হলো নিট-ফেব্রিক, গ্রে-কাপড় ভারত ও চীন থেকে আমদানি হচ্ছে দেদার।

(খবরে প্রকাশ সুতার কল গুলোতে ৪ হাজার কোটি টাকার সুতা অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে)
দেশীয় বস্ত্র খাত বাঁচাতে হলে মুক্তবাজার অর্থনীতিকে একটু গলা চিপে ধরতে হবে।

চামড়া,কৃত্রিম চামড়ার তৈরী জুতো, চপ্পল, স্যান্ডেল, ছোটদের কাপড়, কসমেটিকস, দেশীয় গার্মেন্টস Accessories, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি(তার, সুইচ, পাখা ইত্যাদি), তালা, টুলস্, ব্যাটারি, খেলনা, নিম্নমানের মেলা মাইন, কাপড়, চুলের ক্লিপ থেকে শুরু করে এক কথায় সব ধরনের পণ্য দেদারসে ঢুকছে চীন এবং ভারত থেকে। ফলে দেশীয় রাবার, চপ্পল, জুতো, বেবি পোশাক শিল্প সহ সকল ছোট ও মাঝারি শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিংবা ধুঁকে ধুঁকে মরছে। সবার আগে নিজেদের শিল্প বাঁচাতে হবে।
শিল্প বাঁচলে বেকারত্ব কমবে, আমদানি নির্ভরতা কমবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।
এমন অনেক অপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল দ্রব্যাদি মুক্ত বাজারের নামে বাজারে ঢুকে পড়ছে যা দেখতে সুন্দর হলেও টেকসই নয়।
দেশীয় কারখানাগুলো এসব নিম্নমানের কম মূল্যের পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকতে পারছে না।
আমরা এধরনের অসাধু কাজ বন্ধের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

কম্পিউটারের সাথে সকল ধরনের যন্ত্রপাতি এবারও শূন্য করে রাখা হোক। তামাক, তামাকজাত পণ্য, বিদেশী সকল ধরনের কাপড়, জুতো, ফ্যাশন সামগ্রী, বিলাস দ্রব্য, ১৩০০ সি.সি’র উপর গাড়ি,সম্পূর্ণ টিভি, হোম থিয়েটার, ইলেকট্রনিক্স এর ওপর কর বাড়ানো যেতে পারে।
২০০৯-২০১১ পর্যন্ত প্রস্তুতকৃত ১২০০সি.সি. গাড়ির আমদানি কর অর্ধেক করা হোক।
যানজটের কথা মাথায় রেখে মটর সাইকেল/মটর বাইকের (৫০ সি.সি. থেকে ১২৫ সি.সি. পর্যন্ত) ওপর আমদানি কর অর্ধেক কমানো হোক।

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য আবাসন ব্যবস্থা সহজতর করার লক্ষ্যে লোহা,স্ক্র্যাপ,পুরনো জাহাজ,টিন,ইস্পাত,সিমেন্ট সহ
সকল নির্মাণ সামগ্রীর উপর বিদ্যমান কর অর্ধেকে নামানো হোক।

আমরা গত দু'টি পর্বে শুধু ভর্তুকির কথা বলেছি।
আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করলে কোনো সরকারের পক্ষে ভর্তুকি দিয়ে দেশ পরিচালনা সম্ভব নয়।
রাজস্ব আদায় হতে হবে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে আয়কর প্রদান সহজতর করা হোক।
দুর্নীতিমুক্ত মন্ত্রণালয়, অফিস এবং গোটা কাঠামোকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য সৎ এবং সাহসী কর্মকর্তা চাই।
এটা মনে রাখা জরুরি যে রাজস্ব আদায়ে সফলতা আসলে দেশের উন্নয়নে স্থবিরতা কাটবে।
আমাদের প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত সরকারী দফতর।
ছবি সূত্র:ইন্টারনেটদি বেঙ্গলি টাইমসে প্রকাশিত