ইসলাম সমর্থন কারীদের গড়পড়তা জামাতি টাইটেল কেন নয়!
বাংলাদেশ মুসলিম দেশ। শতকরা প্রায় ৮৫ শতাংশ-ই মুসলিম। মোট জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ।
সর্বোচ্চ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশটি ধারণ করে আছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সহ নানা ধর্মের মানুষ।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলছেন: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, ভয় করার মত (মুত্তাকী হও মুত্তাকীর মত)
এবং তোমরা পূর্ণাঙ্গ মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ কর না।” (আল ইমরান। আয়াত: ১০২)।
বিশ্বের সকল ধর্মের মানুষ-ই নিজ নিজ বিশ্বাস এবং আস্থায় অটল থেকে তাদের সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছে।
আর আজকে আমাদের মুসলমানদেরকে অমুসলিমদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ইসলাম ধর্মকে নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ও অপ-প্রচার চালানো হচ্ছে।
এর জন্য প্রথমত পবিত্র কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিছ সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞানতা দায়ী।
অজ্ঞানতা বলব এই জন্যে যে আমাদের এই দুর্বলতার সুযোগটা নিচ্ছে কতিপয় ধর্মান্ধ, উগ্র-মৌলবাদীরা।
তারা আল্লাহর আইন ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ সা: এর নির্দেশিত শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার কথা বলে সাধারণ মানুষকে বেপথু করছে।
জিহাদ শব্দের অপ-ব্যাখ্যা দিচ্ছে।
একটি দল মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাকে পদদলিত করে, স্বাধীনতার বিরোধিতা করেও এদেশের মানুষকে নির্বিঘ্নে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে।
কিছু দল ইসলামী আইন প্রয়োগের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
এ রকম আরও অনেক দল-ই আছে। আপাত যাদের উদ্দেশ্য এক মনে হলেও তাঁরা একত্রিত হতে পারেনি!
আমার কাছে বিষয়টি সব সময়-ই দুর্বোধ্য ।
এই যে মৌলবাদ, এই যে ধর্মীয় উন্মাদনা নিয়ে অপ-রাজনীতি এটা কখনোই কোন জাতির জন্য কলান বয়ে আনতে পারেনা, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কারোরই কোন কাজে আসে না।
এদের মত মুষ্টিমেয় কিছু ধর্মান্ধ লোকের কারণে গোটা বিশ্বের সামনে ইসলাম ধর্ম আজ প্রশ্নবিদ্ধ!
এরপর প্রগতিবাদী, ধর্ম নিরপেক্ষতা ইত্যাদি ইত্যাদি প্রমাণে আমরা মুসলমানরাই আবার ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে উঠছি, কিম্বা হতে উৎসাহ দিচ্ছি।
এর কারণও কিন্তু অজ্ঞতা।
ধর্মে নিরপেক্ষ বলে কোন শব্দ আদৌ কি আছে?
না নেই। হয় আপনি মুসলিম। নয় হিন্দু, বৌদ্ধ, কিম্বা খৃষ্টান।
ধর্ম না মানলে নাস্তিক এটা সহজ কথা।
এই সহজ কথাগুলোই রাজনীতির মার-প্যাঁচে হয়ে পড়ে ভিন্ন রকম!
মৌলবাদীরা তখন ধর্ম গেল ধর্ম গেল বলে চেঁচাতে থাকেন।
আমরা মুসলিমরা সবাই সুন্নতে খৎনা করি,মিলাদ মাহফিল করি,কুলখানি করি,মাজারে যাই,মসজিদে যাই,নামের আগে মোহাম্মদ লিখি।
এসব এই জন্য করি কারণ আমরা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছি।
যাদের ঘরে জন্ম নিয়েছি তাদের পূর্ব-পুরুষ অনুসৃত ধর্ম তথা নিজ নিজ ধর্ম সম্পর্কে নিজে নিজে জানার চেষ্টা করলেই তো ধর্ম ব্যবসায়ীদের আর কোন সুযোগ থাকেনা।
ব্লগে দেখি ইসলামের সমর্থনকারীরা নির্বিঘ্নে জামাতি বা রাজাকার টাইটেল পায়!!
তাহলে তো আমি বলব জামাতিদের পোয়া বারো!
৮৫ ভাগ মুসলমানের দেশে তাহলে তো আর কোনো দলের সমর্থক-ই থাকার কথা ছিলনা!!
সব মুসলিম...সব জামাতি বাহ!!
শ্রদ্ধেয় লেখক রাশীদ জামীল ভাই আক্ষেপ করে বলছিল, জামাতিরা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলে, আমরাও বলি। তাই বলে কি আমরা রাজাকার হয়ে গেছি?
বেকুব দেখেছি তবে ব্লগে মাঝে মাঝে এমন কিছু বেকুব দেখি যারা মুসলিম আর জামাতিদের একসাথে গুলিয়ে ফেলেন।
তাদেরকে বলি এদেশে জামাতের কয় শতাংশ ভোট আছে?
আর আমরা গরিষ্ঠতা মুসলিম শতকরা কতজন?
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বলছি, "আপনারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের দেখুন। তারা কখনও নিজ নিজ ধর্মের প্রতি উদাসীন নয়। সবাই যার যার ধর্ম সঠিক ভাবে পালন করছে।"
একমাত্র ইসলাম সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন-ই পারে ধর্ম-ব্যবসায়ীদের ধোঁকা থেকে, ধর্মীয় উন্মাদনা থেকে জাতিকে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, মৌলবাদ মুক্ত রাখতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন