জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

রায়ঠাকুরানী অমর হবে




মেঘ খণ্ড। আকাশের চুড়োয় মেঘের মিনার।
শরতের আকাশ! ধবল পরী!
শূন্যে ঝুলে থাকা দুরন্ত ঈগল
এক মেঘ বালিকা, এক রাজকন্যা।

পাখিটা দিনভর নখরে, কামড়ে ক্ষতবিক্ষত
করে। স্বপ্ন? মুখ থুবড়ে পড়ে ভিন গ্রহে
পাশবিক চিৎকারে, শীৎকারে রক্ত ঝরায়
মেঘ তখনও ঝরে না। বিদ্যুৎ ঝলকায়।

পাখিটা কখনো তার ছিলনা। পাঁজরের হাড়
খুবলে খে'তো। ঔদ্ধত্যের কাছে আমরণ বশ্যতা।
তবু দিন শেষে পাখিটা নীড়ে ফিরে আসুক
তার ঘর, খড়-কুটো-মেঝ ভিজে যাক।

অনেক পরে বরফের বুকে মেঘ ঝরে।
বোবা কান্নায় বুকের ভেতর কঠিন শপথ
"যত কাল বাঁচি নিজেই হব পাখি
শিকারি। ঘর ছাড়া করে তবেই ক্ষান্ত।

বানর হবি? আমাজন যাবি!
পিগমিদের ঘর? আদিম বসতি?
কি চাস তুই! "মেঘ ভালো লাগেনা"
"মেঘ ভালবাসি না''। "ভালবাসতে জানিনা।"

তবু অরণ্যে পাতায় পাতায় ঘর্ষণে
দাবানল। গভীর অরণ্য, আদিম গুহা, সতেজ-সবুজ ঘাস।
উর্বর জমিন চাষ করে সুতীক্ষ্ণ লাঙ্গলের ফলা।
স্বপ্ন দেখায়। সাতরঙা রংধনু পাহাড়ের পাদদেশ।

মেঘ খণ্ড আকাশ ছুঁতে চায়। রায়ঠাকুরানী
অমর হবে। দাবানলের পোড়া জমিনে সারাক্ষণ
বারি বিন্দু হতে চায়। বজ্রপাতের সাথে সংযোগ
পেতে নতুন ফাঁদ পাতে। সারাক্ষণ বর্ষে।

সংযোগ কেটে যায় বৈদ্যিক ব্যথায়
অবকাশ নেই আকাশের নিচে ঝুলে থাকে ঠায়
প্রতিশোধের আগুনে ঝাপ দিতে
দিগন্তে পাখা মেলে। কুল কুল ঝরে অবিরাম।

তোমার বর্ষণে গজানো সতেজ-শস্য খেত
মাড়িয়ে গেছে বুনো-শূয়র, হায়েনার দল!
ঘন পাঁকে রাজহাঁসের গায়ে কাদা আটকে থাকে ?
ভুল পথে পা বাড়ালে নির্মম বজ্রপাতে মূর্তিমান--

বেচে থাকবে শুধু কবিতার 'খেরো খাতাতে'।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন